১০০ শতাংশের মধ্যে ৮০ শতাংশই রোগা হতে প্রথেমই খাবার খাওয়া ছেড়ে দেন। এমনটা করাতে ওজন তো কমেই না। উলটে শরীর খারাপ হতে শুরু করে। তাই তো এই ভুল কাজটি কখনও যাতে আপনারা না করেন তার জন্যই তো এই প্রবন্ধটি লেখা। এখানে খাবার খাওয়া কমানোর পক্ষে সাওয়াল করার পরিবর্তে এমন ১০ টি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরকেও চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাহলে এখন প্রশ্ন, ওজন কমাতে কী করণীয়? প্রথমেই যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে, সেটা হল খাবার খেতে হবে পরিমিত হারে। জাঙ্ক ফুড, ভাজাভুজি, রেড মিট একেবারে খাওয়া চলবে না। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরি যাতে শরীরে জমার শুযোগ না পায়। এর পাশপাশি শরীরচর্চা করা মাস্ট। আরেকটি বিষয়, একবার ওজন কমিয়ে ফেলার পর কীভাবে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা যায়, সে বিষয়েও খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। তাই তো এই প্রবন্ধটিতে সেই প্রসঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে।
তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন এক্ষুনি চোখ রাখা যাক বাকি প্রবন্ধে। জেনে নেওয়া যাক সেই সব খাবার সম্পর্কে, যারা ওজন তো কমায়, সেই সঙ্গে পুনরায় যাতে ওজন না বাড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখে।
১. শসা: জলে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক রাখার পাশাপাশি অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে এই ফলটি সাহায্য করে। তাতে অকারণ জাঙ্ক ফুড বা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে, সেই সঙ্গে কমে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও। প্রতিদিন তাই এমনি এমনি অথবা স্যালাড হিসেবে শসা খাওয়া চাইই-চাই।
২. গাজর: এতে রয়েছে ভরপুর পুষ্টিকর উপাদান, আর ক্যালরি রয়েছে একেবারে নামমাত্র। তাই তো গাজর খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বেশি বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। আর আমরা কম খাব তো কী হবে? ওজন কমবে!
৩. তরমুজ: শসার মতোই এই ফলটিতেও জলের মাত্রা বেশি রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বিপুল মাত্রায় পুষ্টিকর উপাদান। আর ক্যালরি রয়েছে একেবারে কম। তাই তো প্রতিদিনের ডায়েটে তরমুজ রাখলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই তাকে না। সেই সঙ্গে ওজনও হ্রাস পায়।
৪. বাঁধাকপি: এই সবজিটিতে খুব কম মাত্রায় ক্যালরি রয়েছে। তাই তো বাঁধাকোপি খেলে পেট তো ভরেই, সেই সঙ্গে ওজনও বাড়ে না।
৫. পেঁয়াজ: একদম ঠিক শুনেছেন, পেঁয়াজও আপনার মেদ ঝড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কীভাবে? এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, এসেনশিয়াল অয়েল এবং খনিজ, যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না।
৬. ব্রকলি: ফাইবার এবং ভিটামিন প্রচুর মাত্রায় থাকার কারণে ওজন কমাতে এই সবজিটি দারুন ভাবে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ওজন কমাতে যদি আপনি বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন এই সবজিটিকে।
৭ . কমলা লেবু: এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরের গঠনে এরটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, কমলা লেবুতে ক্যালরি একেবারেই থাকে না। তাই তো ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৮. সেলারি শাক: এটি আরেকটি খাবার যাতে জলের পরিমাণ রয়েছে অনেকটা শসার মতই। কিন্তু ক্যালরি রয়েছে একেবারে কম। তাই তো ওজন কমানোর পাশাপাশি ঠিক ওজন ধরে রাখতেও এই শাকটি দারুন ভাবে সাহায্য করে।
৯. আপেল: কথায় আছে না, “প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে আর কোনও দিন ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না”। বাস্তবিকই এই ফলটি শুধু ওজন কমায় না, সেই সঙ্গে আরও নানাভাবে শরীরের কাজে লাগে। কারণ কী জানেন? এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, ভিটামিন এবং এসেনশিয়াল তেল। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা যে এই সবকটি উপাদানই শরীরের গঠনে অতি আবশ্যক উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম।
১০. শতমূলী: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, কিন্তু ক্য়ালোরি রয়েছে একেবারে কম। তাই তো শতমূলী শাক খেলে অনেক্ষণ পেট ভরা থাকে, ফলে বারে বারে খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য়কর ওজন ধরে রাখাও সম্ভব হয়।
[ বিঃ দ্রঃ প্রতিদিন মজার মজার রান্নাকরার অসাধারন সব রেসিপি এবং রুপ লাবণ্য টিপস আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিন! ]
আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিতে এইখানে ক্লিক করুন